ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্ল্যাকবেরি তরমুজে লাভ তিনগুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬২ বার

কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো মাচায় চাষ হচ্ছে বারোমাসি ব্ল্যাকবেরি তরমুজ। এই তরমুজ চাষ করে তিনগুণ লাভ করেছেন সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরের আনোয়ার হোসেন নামে এক কৃষক।

আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছর শাক-সবজি চাষ করে লোকসান হতো। তাই পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ২০ শতক জমিতে এই তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। এই তরমুজ চাষে আনোয়ার হোসেনের খরচ হয় মাত্র ৩৫ হাজার টাকা, আর সময় লেগেছে ৬৫ দিন।

সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসে তরমুজ চাষ হয়। অসময়ের এই তরমুজ কিনতে লোকজন মাঠেই চলে আসছেন। আনোয়ার প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

এ তরমুজের ভেতরেটা গাঢ় লাল, স্বাদেও মিষ্টি। বাম্পার ফলন আর বাড়তি দামের কারণে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষে।

করোনাকালে তরমুজের ফলন ও বিক্রি ভালো হওয়ায় আনোয়ার খুশি। জানালেন, তার এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, ‘এই তরমুজ বিষ বা কেমিক্যাল মুক্ত। আবার ফলন ও দাম ভালো। আনোয়ার হোসেন এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।’

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, অসময়ে কুমিল্লায় প্রথম তরমুজ চাষকে পর্যবেক্ষণ করছে কৃষি অধিদপ্তর। পুষ্টিগুণ ও দাম ভালো থাকায় এই তরমুজ চাষে আগ্রহীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্ল্যাকবেরি তরমুজে লাভ তিনগুণ

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো মাচায় চাষ হচ্ছে বারোমাসি ব্ল্যাকবেরি তরমুজ। এই তরমুজ চাষ করে তিনগুণ লাভ করেছেন সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুরের আনোয়ার হোসেন নামে এক কৃষক।

আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছর শাক-সবজি চাষ করে লোকসান হতো। তাই পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ২০ শতক জমিতে এই তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। এই তরমুজ চাষে আনোয়ার হোসেনের খরচ হয় মাত্র ৩৫ হাজার টাকা, আর সময় লেগেছে ৬৫ দিন।

সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসে তরমুজ চাষ হয়। অসময়ের এই তরমুজ কিনতে লোকজন মাঠেই চলে আসছেন। আনোয়ার প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

এ তরমুজের ভেতরেটা গাঢ় লাল, স্বাদেও মিষ্টি। বাম্পার ফলন আর বাড়তি দামের কারণে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষে।

করোনাকালে তরমুজের ফলন ও বিক্রি ভালো হওয়ায় আনোয়ার খুশি। জানালেন, তার এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, ‘এই তরমুজ বিষ বা কেমিক্যাল মুক্ত। আবার ফলন ও দাম ভালো। আনোয়ার হোসেন এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।’

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, অসময়ে কুমিল্লায় প্রথম তরমুজ চাষকে পর্যবেক্ষণ করছে কৃষি অধিদপ্তর। পুষ্টিগুণ ও দাম ভালো থাকায় এই তরমুজ চাষে আগ্রহীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।